Saturday, January 4, 2014

তোমরা যারা আমার খতনা নিয়ে সন্দেহ কর

১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন শোনার পরই আমি বাংলাদেশ কে অনুভব করেছিলাম ।সেই ২৫ মার্চের রাত থেকেই আমি পশ্চিম পাকিস্তানের পন্য বর্জন করি ।এর পর আমি কখনো পাকিস্তানের কোনো জিনিস হাত দিয়ে স্পর্শ করিনি। অনেক টাকা বেঁচে যাবে জেনেও যে প্লেন পাকিস্তানের মাটি স্পর্শ করবে আমি কোনোদিন সে প্লেনে উঠিনি। পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যখন কোনো প্লেনে উড়ে যাই, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই দেশটির ভূমি সীমার বাইরে না যাই ততক্ষণ নিজেকে অশুচি মনে হয়। পাকিস্তান দল যত ভালো ক্রিকেট খেলা খেলুক না কেন আমি তাদের কোনো খেলা দেখি না (ষাটের দশকে টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণ বিজয়ী পাকিস্তান হকি টিমের একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় পাকিস্তান মিলিটারি অফিসার হিসেবে আমার বাবাকে ৭১-এ হত্যা করেছিলো বলে আমি জানি।)


১৯৭১ সালের যুদ্ধের একটা ঘটনা আমি শিশুদের প্রায় ই বলি ।আমি তখন শর্ষীনা হুজুরের কাছে ছিলাম ।তিনি রাজাকার ছিলেন ।তারপরেও পাকিস্তানি মিলিটারিরা তার বাড়িতে যাদের সন্দেহ করতো তাদের প্যান্ট/লুঙ্গি খুলে দেখতো যে খত্‍না করা কিনা ।আমার তখন খত্‍না করা হয়নি ।পরিবেশ খারাপ দেখে আমার মা আমাকে একদিন শহরে নিয়ে গেল খত্‍না করাতে ।আমি ভীতু বলে আমাকে ডাক্তার দিয়ে খত্‍না করানোর সিধান্ত নিলো ।আমি ডাক্তারের রুমে শুয়ে আছি । একটু পরেই ডাক্তার খত্‍না করাবে ।এমন সময় আমি লক্ষ্য করলাম ডাক্তারের কাঁচিটা পশ্চিম পাকিস্তানের তৈরি ।আমি লাফ দিয়ে উঠে মাকে ডাকলাম আর বললাম আমি পশ্চিম পাকিস্তানের কাঁচি দিয়ে খত্‍না করবো না ।তারপর আমি বাসায় ফিরে আসলাম ।আর সেভাবেই বড় হতে লাগলাম ।

এটা খুব দুঃখের বিষয় যে ,এখন পর্যন্ত সার্জারির যন্ত্রপাতি পাকিস্তান থেকে আনা হয় ।তোমাদের প্রতি অনুরোধ ,পাকিস্তানের সাথে আপোষ করবে না ।দরকার হলে আমার মতো খাকবে ।

No comments:

Post a Comment