Sunday, January 5, 2014

তারুণ্যের জয়োল্লাস কি ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে হেরে যাবে???

৩ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর। মাত্র পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনে গোটা জাতি দেখেছে আমার প্রতি তোমাদের ভালবাসা। হয়ে গিয়েছিল প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফ্যান।১১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর ভালবাসায় সিক্ত ছিলাম প্রায় ১২০০০+ ভক্তবৃন্দ নিয়ে। কিন্তু স্বাধীনতার শক্তির সেই বাঁধ ভাঙ্গা জনপ্রিয়তা চোখের কাটা হয়ে গেল সেই ধর্মান্ধ ব্যাক্তিবর্গের কাছে। সরাসরি বাক স্বাধীনতায় আঘাত হানে। কিন্তু ওরা জানেনা তরুনরা যখন গর্জে উঠে তখন দূর করে ফেলে তিমির রাত, নিয়ে আসে সোনালী ঝলমলে সকাল। হে তরুন, জাগাও তোমার চেতনা।দেখিয়ে দাও কিভাবে নতুন করে ফিরে আসতে হয়। সবাইকে জানিয়ে দাও- তরুন জাগরন রুখতে চায় ধর্মান্ধতা দিয়ে যারা নতুন করে শপথ নিয়ে চেতনায় দাড়িয়ে তারা

তোমরা যারা এরশাদকে নিয়ে কথা বলঃ

তোমরা অনেকেই এরশাদের ব্যাপারে আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছ। আমি আগে কোথাও তাকে নিয়ে কোন মন্তব্য করিনি।আমার কলামেই জানান দিচ্ছি তাকে নিয়ে আমার অনুভূতি।
আশির দশকে সাফারির বুকের বাম পাশে গোলাপযুক্ত পুরুষ মানেই যার কথা বুঝাত সে ছিল এরশাদ। সেই গোলাপে সুগন্ধ ছিল কিনা জানিনা তবে গোলাপ তিনি ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন অনেক নারীকেই।
যাক সে কথা,তোমরা হয়ত একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবে, তার কথার পরিবর্তন ঘটে আকাশের মেঘের মত করে। আজ এ কথা তো কাল সে কথা। বলি, যার মনটাই ঠিক নেই তার আবার কথার ঠিক থাকে কিভাবে!
সেদিন পত্রিকায় দেখলাম, কিছু তরুণী তার হাতে ফুল তুলে দিচ্ছে।খুবই ভালো লাগল। মৌমাছি আনতে হলে মধু দিতেই হয়। এরশাদ সাহেব সেটা ভালোই জানেন।
এবার আসল কথা বলি,একটা স্থানে আমি,হিটলার আর এরশাদ এক জায়গায়। সেটা হল,গোঁফ। হিটলারের অর্ধেক,এরশাদের পাতলা।আর আমার মোটা ঝোপের মত। কারণ হিটলারের মত বুদ্ধি আর কাউকে গোলাপ দেয়া দুটোতেই আমি পাকা। এ জন্যই সাইন্সে একটি কথা আছে,"কয়লা ও হীরক একই মৌলের রুপভেদ"

তোমরা যারা ভোট দাওনি ...

একাত্তরে আমরা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। 

যুদ্ধের অন্যতম শত্রু পাকিস্তানী আর্মি সেই বছর ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করেছিলো বটে। তবে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ কিন্তু একাত্তরে শেষ হয়ে যায়নি। বরং যুদ্ধ চলেছে দীর্ঘ তেতাল্লিশ বছর ধরে। পৃথিবীর ইতিহাসে এতো দীর্ঘ সময় ধরে আর কোন স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি। আমি মনে করি আমাদের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে গতকাল পাঁচই ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে। পাঁচই ডিসেম্বর হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় সোনালী অক্ষরে খচিত একটি তারিখ, নতুন প্রজম্মের স্বাধীনতা দিবস।

উচ্চ আদালত ও শাহবাগের গৌরবময় যৌথ সংগ্রামের ফলে আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা যুদ্ধের আসল শত্রুপক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোট জাতীয় নির্বাচনে প্রতিহত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরো জাতি আনন্দমুখর উৎসবের সাথে নির্বাচন পালন করেছে। পুরো জাতির জন্য এটি একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। 

Saturday, January 4, 2014

তোমরা যারা নুনু বের কর



তোমরা যারা বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলঃ

খুব ছোট বেলা থেকেই বর্ণবাদ বৈষম্যের সাথে কেন জানি আমি নিজেও খুব পরিচিত।আমার বড় ভাই কাজলদা। কালো নাম পরিবর্তনে সে নিজে ধবল হুমায়ূনে পরিবর্তিত হন। কিন্তু আমি রয়ে যাই সেই বিব্রত কালো রঙে। 

আগের কোন এক কলামে তোমাদের বলেছিলাম, মানুষ পৃথিবীতে দুইটি জিনিস শুনতে সবথেকে বেশি পছন্দ করে- 
১ আমি তোমাকে ভালবাসি-I love you এবং
২ নিজের নাম 

আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?

দীর্ঘদিন থেকে আমরা কঠিন সংগ্রামমুখর পথে হেঁটেছি। এই পথে আমাদের আলোকবর্তিকা বহন করেছেন শহীদ জননী। কত শত মুখ মনে পড়ে আজ স্মৃতির পর্দায়। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এ জননী জন্মভূমির সত্যিকার আলোকবর্তিকা হলো এদেশের শিশু কিশোরের দল। এই দেশের যুবক যুবতীরা একেকজন স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী। সুতরাং আমি বিশ্বাস হারাইনা। লাল নীল সবুজ বেদনায় মুহ্যমান হই, কখনো অবিশ্বাস্য আঘাতে কষ্ট পাই, কিন্তু এ বাংলাদেশের উপর বিশ্বাস হারানোর নিয়তি আমার নেই।

তবু আমরা যা ভাবতেও পারিনি, গতরাতে তাই ঘটলো। পুরো জাতি উন্মুখ হয়ে প্রসববেদনার অপেক্ষা করছিলো, কিন্তু চেম্বার জজ সে বেদনা থামিয়ে দিলেন। তবে আমি আশাবাদি মানুষ। হতাশ হইনা। আমি জানি তারুণ্যের উচ্ছাস ও শাহবাগের জোয়ার আবার এসে এদেশকে নিষ্কলুষ করবে। তাই আমি আনমন তাকিয়ে থাকি এদেশের দিকে, পতাকার দিকে, লক্ষ কোটি শিশুর মুখে আঁকা এক মানচিত্রের দিকে।

চেতনার বড়ি এনে দিল সেই কাংখিত দড়িঃ

অনেক দেড়ি হলেও কাদের মোল্লার ফাঁসি বিষয়ক কলাম লিখতে পেরে ভালো লাগছে।যদিও জামাত শিবির তার মৃত্যুদন্ডকে হত্যা বলছে। কিন্তু আমি বলব হত্যা হোক আর মৃত্যুদন্ড হোক জামাত মারা যাওয়ার মানে হল আমার চেতনার প্রশান্তি। তাইতো আজ আমার মনে হচ্ছে অনেকদিন পর নিচ্ছি বুক ভরে চেতনার অক্সিজেন। তার এই ফাঁসির দড়ির চেতনার আগুনে যে ঘি ঢেলে দিয়েছ তোমারাই,হে প্রজন্ম। 

তার মৃত্যুর ফটো পত্রিকায় দেখলাম। সায়ানোসিসে রাঙ্গানো তার মুখ। কিন্তু নেই টাঙ্গ ডেভিয়েশন।আমি অবাক হয়েছি, একজন রাজাকার কিভাবে এত সুখের মরণ নিতে পারে!!!
সাধারনত, হ্যাংগিঙ্গে মরণের পর টাঙ্গ ডেভিয়েশন হবে, ব্লিডিং হবে নাকে মুখে। কিন্তু এ কি দেখলাম!!!তার সেসব নেই। তাহলে কি জল্লাদের চেতনার মরণ হল সেখানে!!!! নাকি অলৌকিকতার সাথে জামাত-শিবিরের আতাত!!!

হত্যা কিংবা মৃত্যুদন্ড যেটাই হোক কিংবা হোক আরও অদৃশ্যতার খেলা, স্বাধীন বাংলায় জামাতের কারো পরলোকগমন মানেই চেতনার পতাকা পতপত করে উড়া।

চাইনা দেখিতে এমন মধুর মরণ যেমন দেখেছি ঐ কাদের
চেতনা দিয়ে তেতুল খেয়ে রুখতে হবে তাদের ।

তোমরা যারা আমাকে চেতনা নিয়ে প্রশ্ন করো

এবারের বিজয় দিবসটা অনেক ভালোভাবে কেটেছে ।১৬ কোটি বাঙালী এবার কাদের মোল্লা মুক্ত বিজয় দিবস উদযাপন করেছে ।এবার আমিও অনেক উত্‍ফুল্ল ছিলাম ।আবেগে ১৫ ডিসেম্বর ঘুমাতে পারিনি ।সারারাত আবেগে কেঁদেছি ।কারণ আমি জানি ,কাদের মোল্লা মুক্ত হওয়ার ফলে দেশ কি হবে ।দেশ অচিরেই সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে ।

১৬ ডিসেম্বর সারাদিন অনেক ব্যস্ত ছিলাম ।রাতে আমি কিছু সময় শিশুদের দেই ।আমি শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনালাম ।শিশুরা মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প শুনে আমাকে বললো ,স্যার আমাদের জন্ম একাত্তরে হলো না কেন?একাত্তরে জন্ম হলে আমরাও যুদ্ধে যেতাম । শিশুদের এরকম আবেগপূর্ন প্রশ্নে আমি কেঁদে ফেললাম ।চেতনা আমাকে কাঁদায় ,চেতনা আমাকে হাসায় ,চেতনা স্বপ্ন দেখায় ।এসময় একটি শিশু আমাকে বললো ,স্যার আপনি যুদ্ধে যান নি কেন?
আমি প্রশ্ন শুনেই ধারনা করলাম নিষ্পাপ শিশুটিকে হয়তো কোন শিবির ব্রেইনওয়াশ করেছে ।তারপরেও উত্তরে বললাম ,আমি যদি যুদ্ধে যেতাম তাহলে রাজাকাররা আমাকে মেরে ফেলতো ।আর আমি মরে গেলে তোমাদের চেতনার বাণী কে শোনাতো?

তোমরা যারা পাকিস্তান দুতাবাসের সামনে ইমরানকে পিটিয়েছ

তোমরা জানো আমি একটু ভীতু মানুষ ।এই ভীতু হওয়ার কারনেই ৭১ এ আমার মা আমাকে ও কাজল শর্ষীনা হুজুরের কাছে রেখে এসেছিলো ।শর্ষীনার হুজুর রাজাকার হলেও জামায়াত শিবির করতো না ।সে অনেক ভালো ।

যা বলছিলাম ,গতকাল রাতে আমি আমার এক সহকর্মীর সাথে শিবির নিয়ে কথা বলছিলাম ।সে আমাকে কথার এক পর্যায়ে বললো -জাফর স্যার ,আপনি কি কখনো গ্রিল মুরগি কাটার কাঁচি দেখেছেন? আমি বললাম হয়তো দেখেছি কিন্তু মনে নেই ।সে জানালো ঐ কাঁচি দিয়েই শিবির রা রগ কাটে ।আমি ভয়ে আতকে উঠলাম ।একটা মানুষকে আরেকটা মানুষ পুলিশের মতো গুলি করে মারে না ,ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের মতো চাপাতি দিয়ে মারে না কিন্তু কাঁচি দিয়ে রগ কেটে দেয় ।সাথে সাথে আমি শাহরিয়ার কবিরকে ফোন দিয়ে বললাম ,আপনি ৭১ এ গ্রিল মুরগি কি দিয়ে কেটেছেন? তখন সে জানালো স্প্রিং যুক্ত একধরনের ধারালো কাঁচি দিয়ে ।আমি আবারো ভয় পেলাম ।ভয়ে ভয়ে রাতে ঘুমাতে গেলাম ।

জাফর ইকবালের কলাম : তোমরা যারা ককটেল ফুটাও

আমি আমার ইউনিভার্সিটির CSE ল্যাবে আমার এক ছাত্রের সাথে বাঁশেরকেল্লা ওয়েবসাইট  নিয়ে কথা বলছিলাম ।তোমরা হয়তো জানো ,বাঁশেরকেল্লা শিবিরের ওয়েবসাইট ।আমার ছাত্রটি খুব আক্ষেপ করো বললো ,স্যার আমরা অনেক চেষ্টা করেও বাঁশেরকেল্লাকে দমাতে পারলাম না ।আমি ওকে একটা সফটওয়্যার ডিজাইন করতে বলেছি যা দিয়ে বাঁশেরকেল্লার নাম পরিবর্তন করে BALERKELLA বালেরকেল্লা লেখা যায় ।আমি Bangladesh awamileague কে সংক্ষেপে Bal বলি ।এতে এনার্জির অপচয় হয় না ।আমরা যখন এসব নিয়ে কথা বলছিলাম তখন বাইরে পারমানবিক বোমা পরার শব্দ পেলাম ।বের হয়ে দেখলাম কয়েকটা ছেলে ককটেল ফুটাচ্ছে আর বলছে তোমরা যারা ,তোমরা যারা ।আমি দেখেই বুঝলাম ওরা শিবির ।

তোমরা যারা আমার খতনা নিয়ে সন্দেহ কর

১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন শোনার পরই আমি বাংলাদেশ কে অনুভব করেছিলাম ।সেই ২৫ মার্চের রাত থেকেই আমি পশ্চিম পাকিস্তানের পন্য বর্জন করি ।এর পর আমি কখনো পাকিস্তানের কোনো জিনিস হাত দিয়ে স্পর্শ করিনি। অনেক টাকা বেঁচে যাবে জেনেও যে প্লেন পাকিস্তানের মাটি স্পর্শ করবে আমি কোনোদিন সে প্লেনে উঠিনি। পাকিস্তানের ওপর দিয়ে যখন কোনো প্লেনে উড়ে যাই, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই দেশটির ভূমি সীমার বাইরে না যাই ততক্ষণ নিজেকে অশুচি মনে হয়। পাকিস্তান দল যত ভালো ক্রিকেট খেলা খেলুক না কেন আমি তাদের কোনো খেলা দেখি না (ষাটের দশকে টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণ বিজয়ী পাকিস্তান হকি টিমের একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় পাকিস্তান মিলিটারি অফিসার হিসেবে আমার বাবাকে ৭১-এ হত্যা করেছিলো বলে আমি জানি।)

তোমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী পদার্থ বিজ্ঞান বই পড়

আমি বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছি অনেক দিন ধরে ।চেতনাধারী শিক্ষার্থীদের মাঝে যেন বিজ্ঞানী হওয়ার প্রবল আকাংখা জাগে এজন্য আমি অনেক সেমিনারে কথা বলেছি ।তবে মুল সমস্যা হলো ,আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্হায় এখনো পাকিস্তানি প্রভাব আছে ।এ শিক্ষা ব্যবস্হায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অনেক কিছু আছে ।এসব বইতে জ্ঞ্যান অর্জনে উত্‍সাহিত না করে ,নম্বর কিভাবে বেশি পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে উত্‍সাহিত করা হয় ।আর এসব বইতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব কম কথাই আছে ।রসায়ন ,পদার্থ ,সামাজিক বিজ্ঞান ,সাধারন বিজ্ঞান ,সাধারন গণিত বইতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা গল্পও নেই ।গণিত অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমি প্রায় বলি ,তোমরা যারা বিজ্ঞানী হতে চাও তারা কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই পড়? আমি নবম দশম শ্রেণীর পদার্থ বিজ্ঞানের যতোগুলো বই পড়েছি কোন বইতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা কথাও পাইনি ।তাহলে কি আমাদের দেশে শিক্ষার্থীরা ,মুক্তিযুদ্ধের গল্প ছাড়া পদার্থ বিজ্ঞান পড়ে অপদার্থ হয়ে যাবে? না তা হতে দেব না ।আমি চেতনার অনুপ্রেরনায় এগিয়ে আসছি ।তাই নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানের একটা বই লিখেছি ।

আর আমি অনেক দিন ধরে একটা বিষয় লক্ষ্য করছি ।শাহবাগের চেতনাধারীরা ইতিহাস ছাড়া অন্য পরীক্ষা দিতে চায় না ।আমি বলছিনা যে ,তোমাদের সব পরীক্ষা দিতে হবে ।কিন্তু পদার্থ পরীক্ষা তোমাদের দিতে হবে ।এজন্য আমি তাদের জন্য এই বইটা লিখেছি ।তোমরা এটা পড়বে আর আমার প্রশংসা করবে ।

এই বইটা উত্‍সর্গ করেছি ,তোমরা যারা বিজ্ঞানী হতে চাও" তাদের প্রতি ।

তোমরা যারা আমার জন্মদিনে উইশ কর

দেখতে দেখতে জীবনের আরেকটি বয়সের সিঁড়ি পার হলাম। পা রাখলাম নতুন এক বছরে।এই অল্প বয়সেই দেখেছি আমার প্রতি তোমাদের ভালবাসা, উৎফুল্লতা। এ জন্য তোমাদের প্রতি আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ১৯৫২, সিলেটে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে আমার জন্ম হল। বাবা আমার নাম রাখলেন," বাবুল"

ছেলে বেলায় আমার জন্মদিন পালনকালে সবাই যখন " হ্যাপি বার্থ ডে বাবুল" বার্থ ডে সং গাইত তখন নিজেকে কেমন যেন আবুল আবুল মনে হত। 

যাক সে কথা, ৬০ বছর পেরিয়ে এখন আমি ৬১ বছরের যুবক। হ্যাঁ! ৬১ বছরের যুবক এখন আমি। তাইতো এই তারুণ্য আমি ধরে রেখেছি আমার চেতনায়, বাগ্মীতায়, চাহনিতে। কারণ আমি জানি, " দেহের বয়স বয়স নয়, মনের বয়সই প্রকৃত বয়স"

তোমরা যারা বহুবিবাহ করো

ডিসেম্বর মাসটি আমার জন্য যুগপৎ বেদনা ও আনন্দের মাস। এ মাস আমাকে নবজন্মের আনন্দে উদ্বেল করে, আবার এ মাসে আমি বেদনার আঘাতে বিক্ষত হই। আমি যখন আমেরিকার বেল কর্পোরেশন ল্যাবে রিসার্চ করতাম, ডিসেম্বর মাসটা জুড়ে কিছুই করতে পারতাম না। আমার সুপারভাইজার জানতেন এই মাসটাতে আমার মনের অবস্থা কেমন হয়। তিনিও আমাকে এসময় কোন চাপ দিতেন না। আমি তুষারপাত দেখে আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার কথাগুলো ভেবে ভেবে ডিসেম্বর পার করতাম। 

নতুন প্রজন্মের মাথায়, চিন্তায়, বুদ্ধিতে আর কল্পনায় স্বাধীনতার চেতনা প্রোথিত করার জন্য সাধনা করাটাকে আমি এখন জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য করে নিয়েছি। তার ধারাবাহিকতায় আমাদের চুড়ান্ত সাফল্যও এসেছে। শাহবাগে নেমে এসেছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী শক্তির কবর রচনা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ভেবেছিলাম এই আনন্দ আর প্রাপ্তির মহান বছরে ডিসেম্বরটা অন্যরকম হবে। কিন্তু এ যেন নিয়তি। আমারই পরিবারের এক সদস্য, আমার প্রয়াত সহোদরের কন্যা শিলা আহমেদ এই ডিসেম্বরকে আবারও আমার জন্য শোকাবহ করে তুললো। 

তোমরা যারা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করতে চাও

বর্তমান ১৮ দলের মার্চ ওফ ডেমোক্রেসি আন্দোলন নিয়ে আমি হতাশ। আমি সব সময়ই শাহবাগের মত উপরের দিকে মুখ করে শুয়ে পরা আন্দোলনে বিশ্বাসী। 

আজ টিভিতে ১৮ দল নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখলাম, এক মহিলা পুলিশকে হুমকি দিতে, " বাড়ি কোথায়? গোপালগঞ্জ? গোপালগঞ্জের নামই পাল্টে দিব" 

ইউ নো, বর্তমান Bangladesh Awami League(BAL) পুলিশ বিভাগে প্রচুর গোপালগঞ্জ থেকে নিয়োগ দিয়েছেন। একারনেই হয়ত খালেদা জিয়ার এধরনের বুলি।

যাক সে কথা, নাম পরিবর্তন করতে চায় খুব ভাল। তোমরাতো জানোই বাবুল তথা আবুল বিড়ম্বনায় আমি জাফর ইকবাল হয়েছি। তবে একান্তই যদি বেগম খালেদা জিয়া নাম পরিবর্তন করতে চান তবে আমার ব্যক্তিগত একটা প্রস্তাবনা ছিল।তাতে আমার মত বুদ্ধিজীবী সুশীলকেও সম্মান করা হবে, আমার নামাংশও উচ্চারিত হবে আবার আওয়ামি পন্থিরাও খুব একটা অখুশি হবে বলে মনে হয়না। 
তাই, তোমরা যারা গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করতে চাও তারা BALগঞ্জ দিতে পার।

বাঁশেরকেল্লার মতো একটা ওয়েবসাইটের সাথে যারা তাল মেলাও

সেদিন বিকেলে ,রাজধানীর ফার্মগেটে তখনো সূর্যটা হেলে পরেনি। আমি গাড়ির ভিতরে ছিলাম, একটা সেমিনারে যাচ্ছিলাম। সিগনালে কিছুক্ষণের জন্য গাড়িটা থামলো। এসময় একটি ছোট ফুটফুটে শিশু গাড়ির জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বললো, স্যার দুইটা টাকা দিবেন? দৃশ্যটা দেখে আমার বুকটা কেঁপে উঠলো। স্বাধীনতার এতোবছর পরেও প্রিয় দেশটা এতো পেছনে পড়ে রইলো। এখানে এখনো মানুষ দুই টাকার ভিক্ষা করে। একশ টাকা, পাঁচশ টাকার জন্য নয়। দুই টাকার জন্য ভিক্ষা!
আমি গভীরভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম সেদিন। দেশের এ অবস্হা কেন? অনেক ভেবে বুঝতে পেরেছি,এর একমাত্র কারন হলো জামায়াত। প্রতিটি সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদেরকে একাত্তরে ফিরে যেতে হবে। জামায়াত একাত্তর সালে যা করেছে তার দায়ভার পুরো দেশ এখনো বহন করে চলছে।