Sunday, January 5, 2014

তারুণ্যের জয়োল্লাস কি ধর্মীয় গোঁড়ামির কাছে হেরে যাবে???

৩ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর। মাত্র পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিনে গোটা জাতি দেখেছে আমার প্রতি তোমাদের ভালবাসা। হয়ে গিয়েছিল প্রায় সাড়ে সাত হাজার ফ্যান।১১ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর ভালবাসায় সিক্ত ছিলাম প্রায় ১২০০০+ ভক্তবৃন্দ নিয়ে। কিন্তু স্বাধীনতার শক্তির সেই বাঁধ ভাঙ্গা জনপ্রিয়তা চোখের কাটা হয়ে গেল সেই ধর্মান্ধ ব্যাক্তিবর্গের কাছে। সরাসরি বাক স্বাধীনতায় আঘাত হানে। কিন্তু ওরা জানেনা তরুনরা যখন গর্জে উঠে তখন দূর করে ফেলে তিমির রাত, নিয়ে আসে সোনালী ঝলমলে সকাল। হে তরুন, জাগাও তোমার চেতনা।দেখিয়ে দাও কিভাবে নতুন করে ফিরে আসতে হয়। সবাইকে জানিয়ে দাও- তরুন জাগরন রুখতে চায় ধর্মান্ধতা দিয়ে যারা নতুন করে শপথ নিয়ে চেতনায় দাড়িয়ে তারা

তোমরা যারা এরশাদকে নিয়ে কথা বলঃ

তোমরা অনেকেই এরশাদের ব্যাপারে আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছ। আমি আগে কোথাও তাকে নিয়ে কোন মন্তব্য করিনি।আমার কলামেই জানান দিচ্ছি তাকে নিয়ে আমার অনুভূতি।
আশির দশকে সাফারির বুকের বাম পাশে গোলাপযুক্ত পুরুষ মানেই যার কথা বুঝাত সে ছিল এরশাদ। সেই গোলাপে সুগন্ধ ছিল কিনা জানিনা তবে গোলাপ তিনি ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন অনেক নারীকেই।
যাক সে কথা,তোমরা হয়ত একটা জিনিস খেয়াল করলে দেখবে, তার কথার পরিবর্তন ঘটে আকাশের মেঘের মত করে। আজ এ কথা তো কাল সে কথা। বলি, যার মনটাই ঠিক নেই তার আবার কথার ঠিক থাকে কিভাবে!
সেদিন পত্রিকায় দেখলাম, কিছু তরুণী তার হাতে ফুল তুলে দিচ্ছে।খুবই ভালো লাগল। মৌমাছি আনতে হলে মধু দিতেই হয়। এরশাদ সাহেব সেটা ভালোই জানেন।
এবার আসল কথা বলি,একটা স্থানে আমি,হিটলার আর এরশাদ এক জায়গায়। সেটা হল,গোঁফ। হিটলারের অর্ধেক,এরশাদের পাতলা।আর আমার মোটা ঝোপের মত। কারণ হিটলারের মত বুদ্ধি আর কাউকে গোলাপ দেয়া দুটোতেই আমি পাকা। এ জন্যই সাইন্সে একটি কথা আছে,"কয়লা ও হীরক একই মৌলের রুপভেদ"

তোমরা যারা ভোট দাওনি ...

একাত্তরে আমরা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। 

যুদ্ধের অন্যতম শত্রু পাকিস্তানী আর্মি সেই বছর ডিসেম্বরে আত্মসমর্পণ করেছিলো বটে। তবে আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ কিন্তু একাত্তরে শেষ হয়ে যায়নি। বরং যুদ্ধ চলেছে দীর্ঘ তেতাল্লিশ বছর ধরে। পৃথিবীর ইতিহাসে এতো দীর্ঘ সময় ধরে আর কোন স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি। আমি মনে করি আমাদের চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে গতকাল পাঁচই ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে। পাঁচই ডিসেম্বর হলো বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় সোনালী অক্ষরে খচিত একটি তারিখ, নতুন প্রজম্মের স্বাধীনতা দিবস।

উচ্চ আদালত ও শাহবাগের গৌরবময় যৌথ সংগ্রামের ফলে আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা যুদ্ধের আসল শত্রুপক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোট জাতীয় নির্বাচনে প্রতিহত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুরো জাতি আনন্দমুখর উৎসবের সাথে নির্বাচন পালন করেছে। পুরো জাতির জন্য এটি একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা। 

Saturday, January 4, 2014

তোমরা যারা নুনু বের কর



তোমরা যারা বর্ণবাদ নিয়ে কথা বলঃ

খুব ছোট বেলা থেকেই বর্ণবাদ বৈষম্যের সাথে কেন জানি আমি নিজেও খুব পরিচিত।আমার বড় ভাই কাজলদা। কালো নাম পরিবর্তনে সে নিজে ধবল হুমায়ূনে পরিবর্তিত হন। কিন্তু আমি রয়ে যাই সেই বিব্রত কালো রঙে। 

আগের কোন এক কলামে তোমাদের বলেছিলাম, মানুষ পৃথিবীতে দুইটি জিনিস শুনতে সবথেকে বেশি পছন্দ করে- 
১ আমি তোমাকে ভালবাসি-I love you এবং
২ নিজের নাম 

আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?

দীর্ঘদিন থেকে আমরা কঠিন সংগ্রামমুখর পথে হেঁটেছি। এই পথে আমাদের আলোকবর্তিকা বহন করেছেন শহীদ জননী। কত শত মুখ মনে পড়ে আজ স্মৃতির পর্দায়। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এ জননী জন্মভূমির সত্যিকার আলোকবর্তিকা হলো এদেশের শিশু কিশোরের দল। এই দেশের যুবক যুবতীরা একেকজন স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী। সুতরাং আমি বিশ্বাস হারাইনা। লাল নীল সবুজ বেদনায় মুহ্যমান হই, কখনো অবিশ্বাস্য আঘাতে কষ্ট পাই, কিন্তু এ বাংলাদেশের উপর বিশ্বাস হারানোর নিয়তি আমার নেই।

তবু আমরা যা ভাবতেও পারিনি, গতরাতে তাই ঘটলো। পুরো জাতি উন্মুখ হয়ে প্রসববেদনার অপেক্ষা করছিলো, কিন্তু চেম্বার জজ সে বেদনা থামিয়ে দিলেন। তবে আমি আশাবাদি মানুষ। হতাশ হইনা। আমি জানি তারুণ্যের উচ্ছাস ও শাহবাগের জোয়ার আবার এসে এদেশকে নিষ্কলুষ করবে। তাই আমি আনমন তাকিয়ে থাকি এদেশের দিকে, পতাকার দিকে, লক্ষ কোটি শিশুর মুখে আঁকা এক মানচিত্রের দিকে।

চেতনার বড়ি এনে দিল সেই কাংখিত দড়িঃ

অনেক দেড়ি হলেও কাদের মোল্লার ফাঁসি বিষয়ক কলাম লিখতে পেরে ভালো লাগছে।যদিও জামাত শিবির তার মৃত্যুদন্ডকে হত্যা বলছে। কিন্তু আমি বলব হত্যা হোক আর মৃত্যুদন্ড হোক জামাত মারা যাওয়ার মানে হল আমার চেতনার প্রশান্তি। তাইতো আজ আমার মনে হচ্ছে অনেকদিন পর নিচ্ছি বুক ভরে চেতনার অক্সিজেন। তার এই ফাঁসির দড়ির চেতনার আগুনে যে ঘি ঢেলে দিয়েছ তোমারাই,হে প্রজন্ম। 

তার মৃত্যুর ফটো পত্রিকায় দেখলাম। সায়ানোসিসে রাঙ্গানো তার মুখ। কিন্তু নেই টাঙ্গ ডেভিয়েশন।আমি অবাক হয়েছি, একজন রাজাকার কিভাবে এত সুখের মরণ নিতে পারে!!!
সাধারনত, হ্যাংগিঙ্গে মরণের পর টাঙ্গ ডেভিয়েশন হবে, ব্লিডিং হবে নাকে মুখে। কিন্তু এ কি দেখলাম!!!তার সেসব নেই। তাহলে কি জল্লাদের চেতনার মরণ হল সেখানে!!!! নাকি অলৌকিকতার সাথে জামাত-শিবিরের আতাত!!!

হত্যা কিংবা মৃত্যুদন্ড যেটাই হোক কিংবা হোক আরও অদৃশ্যতার খেলা, স্বাধীন বাংলায় জামাতের কারো পরলোকগমন মানেই চেতনার পতাকা পতপত করে উড়া।

চাইনা দেখিতে এমন মধুর মরণ যেমন দেখেছি ঐ কাদের
চেতনা দিয়ে তেতুল খেয়ে রুখতে হবে তাদের ।